প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট

আফ্রিকার দূর্ভিক্ষের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইড ১৯৮৪ সালে ডাঃ হ্যানি এল-বান্না এবং যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুতে তারা ঘরে ঘরে এবং মসজিদ থেকে মসজিদে অর্থ সংগ্রহ করে দুর্ভিক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের খাবারের সংস্থানে সহায়তা করে।

১৯৮৫ সালে, ইসলামিক রিলিফ সুদানে খামার প্রতিষ্ঠায় সহায়তার মাধ্যমে তার প্রথম কার্যক্রম শুরু করে। একই বছর, এর প্রতিষ্ঠাতারা বার্মিংহামের মোসেলিতে একটি ছোট অফিস ভাড়া নেন এবং সেখান থেকে দুর্ভিক্ষে সহায়তার জন্য ১ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড সংগ্রহ করেন।

এরপর ইসলামিক রিলিফ এর কার্যক্রম দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে মোজাম্বিক, ইরান, পাকিস্তান, মালাউই, ইরাক এবং আফগানিস্তানে কাজ শুরু করে। জরুরী পরিস্থিতিতে সাডা দেওয়ার পাশাপাশি বস্ত্র, খাবার বিতরণ, স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প শুরু করে। প্রথম দিকে শুরু হওয়া দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পটি এখন ওয়ান-টু-ওয়ান অরফ্যান স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে চলমান ।
সৃষ্টিকর্তার রহমতে, বর্তমানে ইসলামিক রিলিফ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ৪০ টিরও বেশি দেশে জরুরী সহায়তা প্রদান করে, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিচালনা করে এবং পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা চালায়।

আমাদের আন্তর্জাতিক সদও দপ্তর বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, মরিশাশ, ইটালি, স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যন্ড, লেবানন, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপিন, নেপাল, ভারত এবং চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের অফিস রয়েছে।
১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূণিঝড় পরবর্তী জরুরি ত্রাণ এবং পূনর্বাসন সহযোগিতার মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে আমরা আমাদের কার্যক্রম মানবিক সহযোগিতার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমেও প্রসারিত হয়।

রেড ক্রস কোড অফ কন্ডাক্টের স্বাক্ষরকারী হিসেবে আমরা জরুরী পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সাথে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার জন্য যে আন্তর্জাতিক মান তা অর্জন করেছি। পাশাপাশি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের এনজিও স্ট্যাটাস ও আমরা পেয়েছি। আমরা ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সহায়তা বিভাগের সাথে একটি ফ্রেমওয়ার্ক পার্টনারশিপ এবং ইউএনএইচসিআর এর সাথে একটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যা কোন বৈষম্য ছাড়াই উভয় সংস্থার সাহায্য দেওয়া নীতিগুলিকে পুনঃনিশ্চিত করেছে।